বাংলা
প্রশ্ন: ☛☛ বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?☚☚
✓ বিভক্তি
✓ কারক
✓ প্রত্যয়
✓ অনুসর্গ
✍✍ কারক শব্দের অর্থ যা ক্রিয়া সম্পাদন করে।।বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে।।
✍✍ বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে। যেমন ছাদে বসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
✍✍ শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে।।
✍✍ বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলাে কখনাে স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনাে শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে তাকে অনুসর্গ বলে।যেমন- প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি ইত্যাদি।
প্রশ্ন: ☛☛ “গির্জা” কোন ভাষার অন্তর্গত শব্দ?☚☚
✓ ফরাসি
✓ পর্তুগিজ
✓ ওলন্দাজ
✓ পাঞ্জাবি
✍✍ গির্জা পর্তুগিজ ভাষার শব্দ।। গির্জা হলাে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় এবং পবিত্র স্থান।
✍✍ পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত আরও কয়েকটি শব্দ– আলপিন, আলমারি, গুদাম, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি, আনারস, চাবি ইত্যাদি।
✍✍ ফারসি শব্দ : জিন্দা, দরবার, বদমাশ, আমদানি, জানােয়ার, নমুনা, রফতানি, হাঙ্গামা ইত্যাদি।
✍✍ওলন্দাজ শব্দ : টেক্ক, রুইতন, ইস্কাপন, হরতন, তুরুপ, ইত্যাদি। ।
✍✍ পাঞ্জাবি শব্দ: চাহিদা, শিখ।
✓ ঐচ্ছিক-অনাবশ্যিক
✓ কুটিল-সরল
✓ কম-বেশি
✓ কদাচার-সদাচার
✍✍ ঐচ্ছিক অর্থ ইচ্ছানুরূপ । অনাবশ্যক অর্থ নিষ্প্রয়োজন। সুতরাং ঐচ্ছিক ও অনাবশ্যক প্রতিশব্দ, ঐচ্ছিক-এর বিপরীত শব্দ আবশ্যিক ।
✍✍ কুটিল-সরল, কম-বেশি, কদাচার-সদাচার হলাে বিপরীত শব্দ অতএব এগুলো বিপরীতার্থক।
✓ তৃতীয়া বিভক্তি
✓ প্রথমা বিভক্তি
✓ দ্বিতীয়া বিভক্তি
✓ শূন্য বিভক্তি
✍✍ বাক্যস্থিত একটি শব্দের সাথে অন্য-শব্দের সম্পর্ক সাধনের জন্য, শব্দের-সাথে যে-সব বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে।
✍✍ বিভক্তি সাত প্রকার: প্রথম, দ্বিতীয়া, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী । দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক তৃতীয়া বিভক্তি। ০ (শূন্য) অ, এ, তে প্রথমা বিভক্তি। কে, রে দ্বিতীয় বিভক্তি ।
✓ বিরামহীন
✓ বালিশ
✓ চলন
✓ সুন্দর
✍✍ সংস্কৃত উপসর্গ যােগে গঠিত শব্দ ‘অভিরাম’ অর্থ মনােহর, সুন্দর।
✍✍ বিরামহীন অর্থ বিশ্রাম নেই এমন, নিরলস।
✍✍ বালিশ অর্থ উপাধান।
✍✍ চলন অর্থ গমন।
✓ সুসময়ের বন্ধু
✓ সুসময়ের সঞ্চয়
✓ শরতের শােভা
✓ শরতের শিউলি ফুল
✍✍ শরতের শিশির বাগধারাটির অর্থ সুসময়ের বন্ধু, ক্ষণস্থায়ী। দুধের মাছি বাগধারার অর্থও সুসময়ের বন্ধু।
✓ শিবরাত্রির আলাে
✓ একমাত্র সঞ্চয়
✓ একমাত্র সন্তান
✓ শিবরাত্রির গুরুত্ব
✍✍ শিবরাত্রির সলতে বাগধারার অর্থ একমাত্র জীবিত বংশধর; বাবা মার একমাত্র সন্তান, একমাত্র বংশধর।
✓ ভৎর্সনাপ্রাপ্ত তরুণী।
✓ যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে
✓ ভূমিতে প্রােথিত তরুমূল
✓ যে বিবাহিতা নারী পিত্রালয়ে অবস্থান করে
✍✍ এককথায় প্রকাশ : যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে – প্রােষিতভর্তৃকা। যে নারী (বিবাহিত বা অবিবাহিত) চিরকাল পিতৃগৃহবাসিনী-চিরন্ট। যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে— প্রােষিতপত্নীক বা প্রােষিতভার্য। ভৎর্সনাপ্রাপ্ত যে নারী—ভৎসিতা।
✓ কারক
✓ লিখিত
✓ বেদনা
✓ খেলনা
✍✍ √খেল্ + অনা = খেলনা বাংলা কৃৎ প্রত্যয় “অনা” যােগে গঠিত। এরূপ আরও কয়েকটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ : √দুল্ + অনা = দুলনা > দোলনা, √দে + অনা = দেনা, √পা + অনা = পাওনা, √কাঁদ + অনা = কান্না। সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় যােগে গঠিত শব্দ √ক্ + অক = কারক,
লিখ্ + ত = লিখিত, √বিদ্ + অন + আ = বেদনা।
✓ সত্যায়িত
✓ প্রত্যয়িত
✓ সত্যায়ন
✓ সংলগ্ন/সংলাগ
✓ প্রজ্বল
✓ প্রােজ্জল
✓ প্রােজ্বল
✓ প্রােজ্জ্বল
✍✍ সংস্কৃত বিশেষণ পদ প্র+উজ্জ্বল = প্রোজ্জ্বল অর্থ বিশেষভাবে উজ্জ্বল।
✓ যৌগিক
✓ তৎসম
✓ দেশি
✓ অর্ধ-তৎসম
বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়। এগুলােকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমন— জোছনা, ছেরাদ্দ, গিন্নি, বােষ্টম, কুচ্ছিত-এ শব্দগুলাে যথাক্রমে সংস্কৃত জ্যোৎস্ন, শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ণব, কুৎসিত শব্দ থেকে আগত।
যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সােজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, তাদেরকে তৎসম শব্দ বলে। যেমন— চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।
বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত আছে। এসব শব্দকে দেশি বলা হয়। যেমন- কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি।
যেসব শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলােকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন—গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা, মধুর, দৌহিত্র, চিকামারা ইত্যাদি।
✓ জয়ের ইচ্ছা
✓ হত্যার ইচ্ছা
✓ বেঁচে থাকার ইচ্ছা
✓ শােনার ইচ্ছা
এককথায় প্রকাশ : বেঁচে থাকার ইচ্ছা—জিজীবিষা। জয়ের ইচ্ছা—জিগীষা। হনন (হত্যা) করার ইচ্ছা জিঘাংসা।
✓ সবঙ্গ+ঈন
✓ সর্ব+অঙ্গীন
✓ সর্ব-ঙ্গীন
✓ সর্বাঙ্গ+ঈন
ঈন্ প্রত্যয়যােগে গঠিত শব্দ – সর্বাঙ্গ + ঈন্ = সর্বাঙ্গীণ, কুল + ঈন্ = কুলীন, সমকাল + ঈন্ = সমকালীন, সবর্জন + ঈন্ = সর্বজনীন।
✓ বেতসবৃত্তি
✓ পতঙ্গবৃত্তি
✓ জলৌকাবৃত্তি
✓ কুম্ভিলকবৃত্তি
প্রশ্ন: ☛☛ঊর্ণনাভ’ শব্দটি দিয়ে বুঝায়—☚☚
✓ টিকটিকি
✓ তেলেপােকা
✓ উইপােকা
✓ মাকড়সা
ঊর্ণনাভ’ সংস্কৃত শব্দ, বিশেষ্য পদ, অর্থ মাকড়সা। ‘উর্ণানাভ যে সূত্র দিয়া জাল প্রস্তুত করে …..।’ – অক্ষয়কুমার দত্ত। টিকটিকি শব্দটি আলংকারিক অর্থে গােয়েন্দা বােঝায়। আরশােলার প্রতিশব্দ তেলাপােকা। বল্মীক অর্থ উইপােকা।
✓ খ্রিস্টধর্ম
✓ প্যাগনিজম
✓ জৈনধর্ম
✓ বৌদ্ধধর্ম
✓ কাহ্নপাদ
✓ লুইপাদ
✓ শান্তিপাদ
✓ রমনীপাদ
প্রদত্ত অপশন অনুযায়ী প্রাচীন যুগের কবি নন রমনীপাদ। কাহ্নপাদ, লুইপাদ ও শান্তিপদ তিনজনই প্রাচীন যুগের কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন চর্যাপদের প্রথম কবি লুইপাদ এবং সবচেয়ে বেশি পদ (১৩টি) রচনা করেন কাহ্নপাদ। শান্তিপাদও দুটি পদ রচনা করেন।
✓ ময়মনসিংহ গীতিকা
✓ ইউসুফ জুলেখা
✓ পদ্মাবতী
✓ লাইলী মজনু
বাংলাদেশে লােকগীতিকাগুলােকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা ১. নাথগীতিকা ২. ময়মনসিংহ গীতিকা ও ৩. পূর্ববঙ্গ গীতিকা। ময়মনসিংহ গীতিকার পালাগুলাে সংগ্রহ করেন চন্দ্রকুমার দে এবং তা সম্পাদনা করেন ড. দীনেশচন্দ্র সেন। পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত ইউসুফ জোলেখা, ‘পদ্মাবতী’ ও লাইলী মজনু’ কাব্যের রচয়িতা যথাক্রমে ফকির গরীবুল্লাহ, আলাওল ও দৌলত উজির বাহরাম খান। উল্লেখ্য, ইউসুফ জোলেখা’ নামে শাহ মুহম্মদ সগীর ও আবদুল হাকিমও কাব্য রচনা করেন।
✓ ফকির গরীবুল্লাহ
✓ নরহরি চক্রবর্তী
✓ বিপ্রদাস পিপিলাই
✓ বৃন্দাবন দাস
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের গতানুগতিক ধারায় জীবনী সাহিত্য এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। জীবনী সাহিত্যের রচয়িতাগণের উদ্দেশ্য ছিল চৈতন্যদেবের মহান জীবনকাহিনি বর্ণনার মাধ্যমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের গৌরব প্রতিষ্ঠা করা। বাংলা সাহিত্যে জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন বৃন্দাবন দাস। তিনি বাংলা ভাষায় শ্রীচৈতন্যের প্রথম জীবনীকাব্য ‘শ্রীচৈতন্যভাগবত’ রচনা করেন। পুথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি ফকির গরীবুল্লাহ। মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি বিপ্রদাস পিপিলাই। তার রচিত কাব্য মনসাবিজয়। বৃন্দাবন দাস ছাড়াও নরহরি সরকার, রঘুনাথ দাস, মুরারি গুপ্ত, লােচনদাস, কৃষ্ণদাস কবিরাজ প্রমুখ কবি জীবনীকাব্য রচনায় উল্লেখযােগ্য অবদান রাখেন।
✓ সন্ধ্যাভাষা
✓ অধিভাষা
✓ ব্রজবুলি
✓ সংস্কৃত ভাষা